Dhaka ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনার কয়রায় ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:১৪:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৯০ Time View

মোঃ আবুবকর সিদ্দিক, খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ

খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও অফিস সহায়কের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযুক্ত সহকারী ভূমি কর্মকর্তার নাম মোঃ রফিকুল ইসলাম ও অপর জনের নাম আব্দুল কুদ্দুস।

ভুক্তভোগী নুরুল হুদা ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ০১/০৮/২০২৩ ইং তারিখে ফাহিমা খাতুন বাদী হয়ে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কয়রাতে আমাকে সহ ৩ জনকে বিবাদী করে একটা মামলা দায়ের করে যাহার নম্বর এমআর- ১১৪/২০২৩। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা , মহারাজপুর ইউনিয়ন বরাবর প্রেরণ করে। কিন্তু ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সরেজমিনে না যাইয়া আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা রিপোর্ট দাখিল করেছে। যাহার কোন ভিত্তি নাই। কারন উক্ত নালিশি জমি ১৯৮১ সনে নিলাম সুত্রে প্রাপ্ত হইয়া সরকারী রাজস্ব দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে চাষ কারকিত করাসহ ভোগ দখলে আছি এবং নালিশি জমির সম্পূর্ণ বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুসের মাধ্যমে বিবাদীদের দ্বারা বায়াসড হইয়া আমার বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করেন। ভুক্তভোগী নুরুল হুদা আরও বলেন ফাহিমা ও তাহার স্বামী মনিরুল আমার ও আমার পরিবারের নামে দেওয়ানী ও ফৌজদারি মামলা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে মহারাজপুর ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী মুঠোফোনে জানান, অনেকে আমার কাছে এসে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছে কিন্তু কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।

এ ব্যাপারে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য। তিনি আরও বলেন বর্তমানে সবকিছু অনলাইনে হয়, সেখানে ঘুষ ও দুর্নীতির কোন সুযোগ নাই এবং আব্দুল কুদ্দুস নামে আমার যে অফিস সহায়কের কথা বলা হয়েছে তিনি আমার অফিসের কেউ না। কুদ্দুস অফিসের কেউ না হলে সব কাজ তাকে দিয়ে করানো হই কেনো জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন অফিসে কাগজ পত্র ও অফিস গোছানোর জন্য এখানে লোক না থাকায় কুদ্দুসকে রাখা হয়েছে। তাছাড়া কুদ্দুস অভিজ্ঞ।

কয়রা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) বিএম তারিক উজ জামান মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

খুলনার কয়রায় ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ

Update Time : ০৭:১৪:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩

মোঃ আবুবকর সিদ্দিক, খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ

খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও অফিস সহায়কের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযুক্ত সহকারী ভূমি কর্মকর্তার নাম মোঃ রফিকুল ইসলাম ও অপর জনের নাম আব্দুল কুদ্দুস।

ভুক্তভোগী নুরুল হুদা ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ০১/০৮/২০২৩ ইং তারিখে ফাহিমা খাতুন বাদী হয়ে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কয়রাতে আমাকে সহ ৩ জনকে বিবাদী করে একটা মামলা দায়ের করে যাহার নম্বর এমআর- ১১৪/২০২৩। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা , মহারাজপুর ইউনিয়ন বরাবর প্রেরণ করে। কিন্তু ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সরেজমিনে না যাইয়া আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা রিপোর্ট দাখিল করেছে। যাহার কোন ভিত্তি নাই। কারন উক্ত নালিশি জমি ১৯৮১ সনে নিলাম সুত্রে প্রাপ্ত হইয়া সরকারী রাজস্ব দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে চাষ কারকিত করাসহ ভোগ দখলে আছি এবং নালিশি জমির সম্পূর্ণ বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুসের মাধ্যমে বিবাদীদের দ্বারা বায়াসড হইয়া আমার বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করেন। ভুক্তভোগী নুরুল হুদা আরও বলেন ফাহিমা ও তাহার স্বামী মনিরুল আমার ও আমার পরিবারের নামে দেওয়ানী ও ফৌজদারি মামলা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে মহারাজপুর ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী মুঠোফোনে জানান, অনেকে আমার কাছে এসে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছে কিন্তু কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।

এ ব্যাপারে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য। তিনি আরও বলেন বর্তমানে সবকিছু অনলাইনে হয়, সেখানে ঘুষ ও দুর্নীতির কোন সুযোগ নাই এবং আব্দুল কুদ্দুস নামে আমার যে অফিস সহায়কের কথা বলা হয়েছে তিনি আমার অফিসের কেউ না। কুদ্দুস অফিসের কেউ না হলে সব কাজ তাকে দিয়ে করানো হই কেনো জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন অফিসে কাগজ পত্র ও অফিস গোছানোর জন্য এখানে লোক না থাকায় কুদ্দুসকে রাখা হয়েছে। তাছাড়া কুদ্দুস অভিজ্ঞ।

কয়রা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) বিএম তারিক উজ জামান মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।